মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

চুক্তিতে গাজা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
চুক্তিতে গাজা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা

গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা এবং জিম্মি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে বেশ আশার আলো দেখা দিয়েছে। কারণ-গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান ও চ্যানেল-১৩ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ৬টা থেকে বুধবার ৬টা এ ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কমান্ডের পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর ইসরায়েলি দখলদার সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকা থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন উল্লেখ করে জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে জিম্মি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে গতকাল (১৪ জানুয়ারি) মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে কাতার। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতার আশা প্রকাশ করেছে, খুব শিগ্‌গির একটি চুক্তি নামা সম্পন্ন হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হামাস ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন।

চুক্তির কিছু সম্ভাব্য বিবরণ প্রকাশ করে ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন যে ‘বন্দি বিনিময় বিষয়ে দ্বিমত থাকায় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছে।

তবে, উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে চুক্তির প্রথম দিনেই হামাস তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তারপর ইসরায়েল জনবহুল এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে।

তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার সাত দিন পরে, হামাস আরও চারজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল গাজার দক্ষিণের বাস্তুচ্যুত মানুষদের উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তবে বাস্তুচ্যুত মানুষজন কেবল উপকূলীয় সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কোন ধরনের যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়ার অনুমতি দেবে ইসরায়েল।

অন্যদিকে, গাড়ি, পশু-টানা গাড়ি এবং ট্রাকগুলোকে সালাহ আল-দিন রোড সংলগ্ন একটি পথ দিয়ে অতিক্রম করার অনুমতি দেয়া হবে, যা কাতার ও মিশরীয় কারিগরি নিরাপত্তা দল দ্বারা পরিচালিত এক্স-রে মেশিন দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের ফেসবুক পেজ :